ইংরেজী নাম: Puffer fish/ Blowfish. বৈজ্ঞানিক নামঃ Tetraodontidae.
স্থানীয় নামঃ টেপা মাছ / পটকা/ পোটকা/ ফোটকা/ ফুগু/ বেলুন মাছ।
গঠন: সাধারণত ১৭-৬০ সে.মি. লম্বা। এরা সাদা, হলুদ, নীল,ধূসর, বাদামী ইত্যাদি বর্ণের হয়ে থাকে।
বিভিন্ন গঠনের প্রায় ১২০ টি প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে ২০-২৫ টি প্রজাতি বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়।এদের দেহে কোনো আঁশ নেই,কিন্তু সারাদেহে সজারুর মত অসংখ্য কাঁটা বিদ্যমান।প্রজাতিভেদে এদের ওজন ৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এরা ৪-৮ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
অবস্থানঃ এদের স্বাদুপানি ও নোনাপানি উভয় পরিবেশেই পাওয়া যায়। আমাদের দেশে বঙ্গোপসাগরসহ স্বাদুপানিতে ( বিশেষত ছোট প্রজাতিগুলো) প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়। তবে জাপান, চীন, কোরিয়া, ফিলিপাইন, মেক্সিকোসসহ বিভিন্ন দেশের সাগরে বেশি পাওয়া যায়।
খাদ্যঃ এরা সর্বভুক প্রাণী। এরা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রানী খেয়ে থাকে,( যেমন- অ্যালজি, ঝিনুক, শামুক ইত্যাদি)। এরা সাধারণত নিশাচর প্রানী।
বিশেষত্ব: এরা মেরুদণ্ডী বিষাক্ত প্রানীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এদের বিষ tetrodotoxin যা neurotoxin প্রকৃতির। প্রানীবিজ্ঞানীদের মতে এর বিষ সায়ানাইডের চেয়েও কয়েকশ গুণ বেশি বিষাক্ত। মাত্র ~২ মি.গ্রা. বিষ একজন মানুষকে মারতে যথেষ্ট। এদের শরীরে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মারার জন্য যথেষ্ট বিষ বিদ্যমান। কিছু প্রজাতির ত্বকও অত্যন্ত বিষাক্ত।
উল্লেখ্য যে, জাপান, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এটি জনপ্রিয় খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এসব না খাওয়াই ভালো। কেননা ভালো করে রান্না করার পরেও বিষ থেকে যেতে পারে। অজ্ঞাতবশত এসব খেয়ে উপকূলবর্তী অনেক মানুষ মারা যায়।
লেখকঃ মেহেদি হাসান সাইম
ওশেনোগ্রাফি, ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।