মৌমাছি থাকবে বনে, সমুদ্রে কেন?
সমুদ্রের তলদেশে থাকা সপুষ্পক উদ্ভিদেরও পরগায়ণ হয় যেমনটি স্থলের উদ্ভিদে হয়ে থাকে। স্থলে এই পরগায়ণে পরাগরেণু বহন করে কীট-পতঙ্গ ও পাখি । মৌমাছি হল পরগায়ণের প্রধান বাহক।
আর সামুদ্রিক উদ্ভিদের পরগায়ণে সহায়তা করে "আর্থ্রোপোডা" পর্বের প্রাণি।যারা সপুষ্পক উদ্ভিদের ফুলে বিচরণ করে এক ফুল হতে অন্য সামুদ্রিক ফুলে রেণু বহন করে নিয়ে যায়। সামুদ্রিক উদ্ভিদ যেমন "Turtle grass" বা "Thalassio testudinum" নামক উদ্ভিদে দেখা যায়।
কিছু "অমেরুদণ্ডী" প্রাণিও জলজ পরগায়ণে অংশগ্রহণ করে। এরা "স্টিগমা" দিয়ে রেণু বহন করে থাকে। এধরনের পরগায়ণকে "zoobenthophilous pollination" বলে, বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়াবে "জলজতলদেশী পরগায়ণ" যেখানে সমুদ্র তলদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র প্রাণি বাহক হিসাবে কাজ করে।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল এনোটোনমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ দীর্ঘ ৩ বছর যাবত ধরে গবেষণা করে, এই বিষ্ময়কর তথ্য আবিষ্কার করেন।
লিখেছেনঃ রাশেদুল ইসলাম।